আসসালামু আলাইকুম, আশাকরি প্রিয় পাঠক-পাঠিকা সবাই আল্লাহর রহমতে ভালো আছেন। আমাদের জীবনে বেঁচে থাকার জন্য খাদ্যের প্রয়োজনীয়তা অপরিসীম। সে কারণে রান্নার গুরুত্ব অপরিহার্য। দেশ-বিদেশ ,সব জায়গায় প্রতিটা ঘরে ঘরে প্রতিদিনই রান্নাবান্নার কাজ চলে। রান্না কাজটা দেখলে সহজ মনে হলেও খুব বেশি সহজ নয়। তবে যে রান্না করতে পারে তার কাছে রান্না কোন বিষয়ই না এটা তার কাছে খুবই সহজ। একটা ছোট বাচ্চার কাছে যেমন অ-আ-ক-খ এই প্রাথমিক শিক্ষা টুকু অনেক বেশি কঠিন মনে হয় ,তেমনি যে রান্না জানেনা তার কাছে সামান্য ভাত রান্না অনেক বেশি কঠিন মনে হয়। তবে রান্নার কাজকে সহজ ও সরল করার জন্য বেশ কয়েকটি উপযোগী টিপস-এন্ড-ট্রিকস আছে সেগুলো নিচে দেওয়া হল:
- ১) চাল ধোয়ার পর 10 মিনিট রেখে দিন অথবা ভাত রান্নার সময় এক চা-চামচ তেল দিয়ে দিন তাহলে দেখবেন ভাত আর ও ঝরঝরে হয়েছে।
- ২) সবুজ শাক সবজি রান্নার সময় সবুজ রঙ ঠিক রাখতে ,এক চামচ চিনি দিয়ে দিন।
- ৩) মাংস রান্নার জন্য একদিন আগেই মাংস ভালো করে ধুয়ে মসলা দিয়ে মাখিয়ে রেখে দিতে পারেন। এতে মাংসের স্বাদ আরও বাড়বে।
- ৪) মাংস রান্নার সময় মাংস তাড়াতাড়ি সিদ্ধ করতে ,খোসাসহ একটুকরো পেঁপে মাংস রান্নার মধ্যে দিয়ে দিন।
- ৫) মাছ, মাংস বা ডিমের ঝোল এর লবণ বেশি হয়ে গেলে কয়েক টুকরা আলু কেটে তরকারি মধ্যে দিয়ে দিন এতে অতিরিক্ত লবণের ভাব কেটে যাবে।
- ৬) মুরগির মাংস বা কলিজা রান্নার সময় এর মধ্যে এক চামচ সিরকা, বা টক জাতীয় কোনো কিছু দিয়ে দিন এতে মাংসের ভোখশা গন্ধ থাকবে না।
- ৭) মাছ ভাজার সময় তেলের ছিটা রোধ করতে এতে সামান্য লবণ ছিটিয়ে দিন।
- ৮) সুপ রান্নার সময় পাতলা হয়ে গেলে এতে দুটি শীতল ভালো করে চটকে একসাথে মিশিয়ে নিন।
- ৯) আগামী দিন কি রান্না করবেন তার প্রস্তুতি রাতেই নিন ,এতে সময় বাঁচবে।
- ১০) রান্না করার সময় অবশ্যই মাছ ও সবজির কম্বিনেশনের দিকে খেয়াল রাখবেন অর্থাৎ কোন মাছের সাথে কোন সবজি ভালো যায় সেদিকে নজর দেবেন।
- ১১) মাছ রান্না করে হাতের কাছে যদি ধনিয়া পাতা থাকে ,তাহলে তা কুচি কুচি করে কেটে তরকারির উপর ছিটিয়ে দিন ,এতে তরকারির স্বাদ আরও অনেক বৃদ্ধি পাবে।
- ১২) মাংস জাতীয় কিছু রান্না করলে এতে রান্না শেষে বেরেস্তা অর্থাৎ পেঁয়াজের কুচি ভালো করে ছড়িয়ে দিন এতে আরও বাড়বে।
- ১৩) এলাচ তরকারিতে সম্পন্ন করে ব্যবহার করাই ভালো কারণ এলাচ কারণে পড়লে খাওয়ার মজাই নষ্ট হয়ে যায়।
- ১৪) যথাসম্ভব পাতিলে ঢাকনা দিয়ে রান্না করুন ,এতে খাবারের পুষ্টিমান ভালো থাকে।
- ১৫) মাংস রান্নার শুরুতে লবণ না দিয়ে, মাংস রান্নার মাঝামাঝি সময়ে লবণ দিন ।তারপর থেকে দেখুন ভবনের মান ঠিক হল কিনা।
- ১৬) তরকারির ঝোল ঘন করতে সামান্য পরিমাণ কনফ্লাওয়ার পানির সাথে ভালো করে গুলিয়ে তরকারির মধ্যে দিন। খেয়াল রাখবেন যাতে কনফ্লাওয়ার মিশ্রিত পানি তরকারির সাথে খুব ভালোভাবে মিশে যায়।
- ১৭) মুরগির ফ্লাট এড়াতে চাইলে মুরগির চামড়া ছাড়াই রান্না করুন। কারণ মুরগির চামড়া তাই ফ্যাটের পরিমাণ বেশি থাকে।
এই সকল টিপস গুলো ফলো করলে খুব সহজেই ভালো রাঁধুনী হয়ে ওঠা সম্ভব। ভাল রান্না করতে পারলে সকলেরই প্রশংসা পাওয়া যায়, সেজন্য সবাই ভাল রান্না করার চেষ্টা করে। যেহেতু রান্নার কাজটা বেশি মেয়েরাই করে, তাই মেয়েদের রান্না শেখার ব্যাপারে বিশেষ আগ্রহ দেখা যায়। প্রতিটা মেয়ের রান্না জানা আবশ্যক।
অনেক কথা লিখে ফেললাম। আজ এখানেই শেষ। ভাল লাগলে কমেন্ট করতে ভুলবেন না। ভাল থাকবেন সবাই। আল্লাহ হাফেজ।