এসো আমরা SEO শিখি

বর্তমানে SEO সম্পর্কে বেশির ভাগই ব্লগাররা সক্রিয় কিন্তু তাদের অনেকের মাঝে দূর্বলতা আছে। আবার কেউ কেউ নতুন করে এস,ই,ও শিখতে চাচ্ছেন তাই আমি সম্পুর্ণভাবে A to Z SEO সমাধান গুলো পরিস্কার করে দিলাম। এখানে আপনি SEO কি? কিভাবে কাজ করে?কিভাবে করতে হবে? কেন এস,ই,ও করবেন? ভুলগুলো প্রতিরোধের উপায় ইত্যাদি শিখতে পারবেন। এই লেখাটিতে আমি SEO নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা করেছি। আশা করি আপনার ভালো লাগবে এবং আপনি কিছু হলেও SEO সম্পর্কে শিখতে পারবেন।

SEO কি? what is SEO?

S= search E= engine O=optimization বাংলা ভাষায় এর অর্থ হলো অনুসন্ধান যন্ত্র নিখুঁতকরণ। সম্পূর্ণভাবে একটি ওয়েবসাইটের এসইও করতে পারলে খুব তাড়াতাড়ি সফলতা অর্জন করা যায়। এখানে Search Engine হচ্ছে Google,Yahoo, Ask, Bing ইত্যাদি। এদের মধ্যে সবচেয়ে জনপ্রিয় হচ্ছে গুগল সার্চ ইঞ্জিন।আর এর কাজ হচ্ছে আপনি যখন গুগল ক্রম, অপেরা মিনিতে অথবা অন্য কোন Browser এ যে,কোন কিছু লিখে সার্চ করেন। তখন এরা  আপনাকে সেই অনুযায়ী সম্ভাব্য সবচেয়ে ভালো সাইট আপনার সামনেদেখাবে।যেইগুলাতে ভিসিট করে আপনি আপনার সেই বিষয় সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে পারবেন। মনে করুন আপনি গুগল এ “আমি কিভাবে SEO শিখতে পারি?” লিখে সার্চ করলেন এখন গুগল আপনাকে সেই সব সাইট এর একটা লিস্ট দেখাবে যেগুলার মধ্যে এস,ই,ও শিখার জন্য গুরুত্বপূর্ণ বিষয় গুলো রয়েছে। তার মানে হলো যা চাইবো তাই পাইবা।সার্চ ইঞ্জিন আবার ৫ ভাগে ভাগ বিভক্ত হয়ে থাকে। যেমনঃ-

১। ক্রলার নির্ভর সার্চ ইঞ্জিন

২।ডাইরেক্টরিস সার্চ ইঞ্জিন

৩।হাইব্রিড সার্চ ইঞ্জিন

৪।ম্যাটা সার্চ ইঞ্জিন

৫।স্পেশিয়ালিটি সার্চ ইঞ্জিন

এবার O=optimization এর কাজ কি তা শিখবো?

আপনি তো এসইও কিভাবে শিখতে পারি এটা লিখে সার্চ ইঞ্জিনে সার্চ করেছিলেন তাই না? হু
লক্ষ করুন এখানে সবার আগে রয়েছে  www.graathor.com ওয়েবসাইটটি।তারপর আছে www.hoichoibangla.com ইত্যাদি।
এখন এতোগুলা সাইট এর মধ্যে থেকে যেভাবে করে গুগল এর ১ম পেজ এ ১ম ওয়েবসাইটটি যেভাবে গুগল সার্চ ইঞ্জিনে এসেছে এইটাই সার্চ ইঞ্জিন অপটিমাইজেশন। অর্থাৎ গুগল এ আপনি যেইভাবে করে আপনার নিজের সাইটকে সবার উপরে প্রথম পেজ এ আনবেন এই কাজটাকেই এসইও বা সার্চ ইঞ্জিন অপটিমাইজেশন বলে।এসইও কি আশা করি বুঝতে পারছেন কি বুঝলেন তো?এবার আসা যাক কেন আপনি এসইও করবেন সেই বিষয়ে ঠিক আছে।

কেন আপনি এসইও করবেন?

👉প্রথমেই আপনাকে বলবো আপনার ওয়েবসাইট এর ভিজিটর বাড়ানোর জন্য।অবশ্যই SEO করতে হবে।

👉নিজের সাইটকে সবার কাছে জনপ্রিয় সাইট হিসেবে  তৈরি করার জন্য।

👉 বিভিন্ন বিজ্ঞাপন থেকে বেশি বেশি টাকা  আয় করার জন্য।

👉 ওয়েবসাইটের সৌন্দর্য বৃদ্ধির জন্য।

👉আপনার উদ্দেশ্য হাসিল করতে।

👉আপনার ও ওয়েবসাইটের সুনাম অর্জন করতে অবশ্যই এসইও করতে হবে।

SEO গুরুত্ব প্রয়োজনিয়তা গুলো হলোঃ-

এস,ই,ও বা সার্চ ইঞ্জিন এর প্রয়োজনীয়তা ব্যাপক। এটি আপনাকে বলে বুঝানো যাবে না। মনে করুন আপনি একটি ওয়েবসাইট তৈরি করলেন কিন্তু কেউ জানলো না যে,আপনার একটি ওয়েবসাইট আছে তাহলে তাহলে ভিজিটর আসবে কোথা থেকে? তখন আপনি ছাড়া ঐ সাইট এর ভিজিটর আর কেউ নেই।এখন আপনি ভাবতে পারেন আমি তো ফেসবুক এ ও বিভিন্ন সোশ্যাল সাইট মিডিয়ার মধ্যেশেয়ার করে এবং আমার বন্ধু বান্ধবদের কে বলে সাইট এর ভিজিটর আনবো তা না? কিন্তু সাইট এর মুল ভিজিটর পেতে হলে অবশ্যই এসইও করা অনেক জরুরি ।

আমাদের বাংলাদেশের মধ্যে দৈনিক কমপক্ষে ৫০ টি নতুন নতুন ওয়েবসাইট তৈরি হচ্ছে, কিন্তু মানুষ কয়টাই বা মনে রাখে হাতে গুনা কয়েকটি মাএ।আবার কেউ কেউ ঐ সাইটকে বুকমার্ক এ রাখে। কিন্তু তাদের যখন কোন কিছুর দরকার হয় তখন সে গুগল বা যে কোন ধরনের সার্চ ইঞ্জিনে সার্চ করে আর তখন যদি সে,সার্চ রেসাল্ট এ আপনার সাইট দেখতে পায় এবং ভালো ভালো লেখা /কনটেন্ট /আটিকেল পেয়ে যায় সে,কিন্তু আবারও ঘুরে ফিরে আপনার ওয়েবসাইট এ আসবেই। কারণ আপনার ওয়েবসাইট এ ভালো কনটেন্ট পাওয়া যায় এবং তার চাহিদা পূরণ হয়।আর তাছাড়াও পরবর্তীতে আপনি যদি গুগল আডসেন্স এর মাধ্যমে টাকা আয় করার প্লান করে থাকেন তাহলে আপনাকে এসইও করতেই হবে। এছাড়া অন্য কোন উপায় নাই। কারন গুগল কখনও আপনার এমন সাইটকে অ্যাডসেন্স দিবে না যার সাইট এর ট্রাফিক কম।এখন এস,ই,ও এর প্রকারভেদ সম্পর্কে জানবো।

👉SEO প্রকারভেদ গুলো হলোঃ-

এসইও মূলত ৩ প্রকার বা তিন ধরনের হয়।

 (১) হোয়াইট হ্যাট এসইও (White Hat SEO)

(২) ব্ল্যাক হ্যাট এসইও (Black Hat SEO)

(৩) গ্রে হেড এসইও (gray head SEO)

👉হোয়াইট হ্যাট এসইও (White Hat SEO)

যে কোন সার্চ ইঞ্জিনের নিয়মনীতি না ভেঙ্গে যে, এসইও করা হয় তাকে হোয়াইট হ্যাট এসইও বলে। আর এর সবচেয়ে বড় নিয়ম হচ্ছে সার্চ ইঞ্জিনের এর তুলনায় ওয়বসাইট এর কন্টেন্ট এবং অন্যান্য বিষয় এর উপর বেশি কাজ করতে হয়।এটি এমন ভাবে তৈরি করুন যা ভিজিটর এর জন্য খুবই উপকারি হয়।মোটেও সার্চ ইঞ্জিনের এর জন্য নয়। হোয়াইট হ্যাট এসইও এর আরেকটা নাম আছে তা হলো এথিক্যাল এসইও।

হোয়াইট হ্যাট এসইও আবার ২ প্রকার যথাঃ-

অনপেজ SEO বা অপটিমাইজেশন

অফপেজ SEO বা অপটিমাইজেশন

👉অনপেজ SEO বা অপটিমাইজেশনঃ

যে কোন ধরনের একটা ওয়েবসাইট এর মধ্যে  যখন অপটিমাইজেশন করা হয় তখন তাকে On page SEO বা অনপেজ অপটিমাইজেশন৷ বলা হয়ে থাকে । উদাহরণ স্বরুপ নিচের কাজগুলোই সম্পুর্ন করাই On page SEO বা অনপেজ অপটিমাইজেশন।

১। টাইটেল ও কি- ওয়ার্ড রিসার্চ***

২। কনটেন্ট ও ওয়েবসাইট ডিজাইন***

৩। মেটা ট্যাগ এবং মেটা ডিস্ক্রিপশন***

৪। গুগল সাইট ম্যাপ ও বিভিন্ন পেজ ***

৫। XML সাইট ম্যাপ***

৬। টাইটেলে ট্যাগের ব্যবহার

৭। ALT ট্যাগের ব্যবহার

৮। h1-h6 ট্যাগের ব্যবহার

৯। অডিও ভিডিও

১০। ওয়েব ডেভেলপমেন্ট ইত্যাদি

কেন ওয়েবসাইটে অনপেজ SEO করতে হবে?

একটি ওয়েবসাইট এর SEO করা খুবই  গুরুত্ব পূর্ণ এবং জুরুরি কাজ।কারন এর মাধ্যমে গুগল, ইয়াহু,বিং,আসক, ইত্যাদি সার্চ ইঞ্জিন গুলো আপনার ওয়েবসাইট খুজে পাবে। তাই একটা ওয়েবসাইট এর ভিতরে এসইও করতে হবে। আশা করি বুঝতে আপনি বুঝেছেন।

👉অফপেজ SEO বা অপটিমাইজেশন

যখন কোন একটা ওয়েবসাইটের জন্য বাহির থেকে অপটিমাইজেশন করা হয়। তখন তাকে
অফপেজ SEO বা অপটিমাইজেশন বলে। যেমনঃ- ↓ নিচের বিষয় গুলো সম্পুর্ন করাই অফপেজ SEO বা অপটিমাইজেশন।

১। ব্যাক লিঙ্কিং তৈরি করা

২। ফোরাম পোস্টিং করা

৩। সোশ্যাল বুকমারকিং

৪। ইয়াহু এন্সার ব্যাকলিঙ্কং

৫। আর্টিকেল সাবমিশন কাজ গুলো

৬। আর্টিকেল রাইটিং

৭। অ্যাংকর টেক্সট

৮। ব্লগ কমেন্ট করা

৯। ভিডিও পোস্টিং

১০। ইমেজ পোস্টিং

১১। পিডিএফ সাবমিশন

১২। RSS সাবমিশন

১৩। Review Site সাবমিশন

১৪। Classified সাবমিশন

১৫। সার্চ ইঞ্জিন সাবমিশন

১৬। ডিরেক্টরি সাবমিশন

১৭। লিঙ্ক হুইল

১৮। লিঙ্ক এক্সচেন্জ

১৯। প্রোফাইল পোস্টিং

২০। CSS সাবমিশন ইত্যাদি।

কেন ওয়েবসাইটে অফপেজ SEO করতে হবে?

অফ পেজ এর গুরুত্ব অপরিসীম। কেননা একটা সাইট এর ট্রাফিক জত বেশি এর মূল্য সার্চ ইঞ্জিনের কাছে তত বেশি। অর্থাৎ আপনার ওয়েবসাইট প্রচারের জন্য যেই মার্কেটিং করা হয়।অফপেজ এসইও আপনার ওয়েবসাইটকে
সার্চ ইঞ্জিনে রাঙ্কিং এ উপরে উঠতে সাহায্য করে।তার ফলে আপনার সাইট এ প্রচুর ট্রাফিক বা ভিজিটর আসে।তাই এটি আপনাকে অবশ্যই করতে হবে এবং ভালোভাবেই করতে হবে।

👉Black head SEO ব্ল্যাক হ্যাট এসইওঃ-

যখন কোন ওয়েবসাইটের জন্য সার্চ ইঞ্জিনের নিয়মনীতি ভেঙ্গে এসইও করা হয়ে থাকে তখন তাকে Black head SEO ব্ল্যাক হ্যাট এসইও বলে। আর এটি সাধারমত ক্ষণিকের জন্য করা হয়।যেমনঃ- ফুটবল ও ক্রিকেট বিশ্বকাপ খেলার কিছু কোন ওয়েবসাইট করে থাকে। ব্ল্যাক হ্যাট এসইও এর মাধ্যমে কোন ওয়েব সাইট কখনই লং টাইম ধরে বা স্হায়ী ভাবে সার্চ ইঞ্জিনের টপ এসইও রাঙ্কিং এ থাকতে পারবে না। এটি শর্ট টাইম এর জন্য সাইটকে এসইও রাঙ্কিং এ এগিয়ে রাখে। এইজন্য ব্ল্যাক হ্যাট এসইও করলে প্রতিনিয়ত নিজের সাইটকে নতুন নতুন এসইও করতে হয়।

কপি পোস্ট থেকে ১০০০ গজ দূরে থাকুন। ব্ল্যাক হ্যাট এসইও আনএথিক্যাল উপায়। তাই এইটার আরেক নাম আনএথিক্যাল এসইও।Black head SEO ব্ল্যাক হ্যাট এসইও আবার দুই ধরনের হয়ে থাকে।যেমনঃ- Direct এবং Indirect। সরাসরি ব্ল্যাক হ্যাট এসইও হচ্ছে কোন ওয়েবসাইট থেকে যে কোন কনটেন্ট যখন কপি করে কোন ধরনের পরিবর্তন না করে অন্য কোন ওয়েবসাইট এ প্রকাশ করা হয়।আর Indirect টা হলো কোন ওয়েবসাইট থেকে যখন কোন ধরনের কনটেন্ট App বা কোন সফটওয়্যারের মাধ্যমে কপি করে প্রকাশ করা হয়ে থাকে।

👉 gray head SEO গ্রে হেড এসইও

যখন কোন কনটেন্টকে ভালো করে পড়ে নিয়ে  নিজের মন মত তৈরি বা কিছু পরিবর্তন করে ওয়েবসাইট এ প্রকাশ করা হয়ে থাকে। তখন তাকে gray head SEO গ্রে হেড এসইও বলে।

একটি ওয়েবসাইটের SEO যেভাবে করতে হবে তার কিছু বিষয় তুলে ধরা হলোঃ-

একটি ওয়েবসাইট এ সঠিকভাবে এসইও করতে হলে আপনাকে অবশ্যই অনপেজ এসইও ও অফপেজ এসইও সম্পর্কে ভালো ধারনা থাকতে হবে।তাছাড়াও আরও কিছু বিষয়ে অভিজ্ঞতা সম্পুর্ন হতে হবে। তা না হলে আপনি সঠিকভাবে SEO করতে পারবেন না। উদাহরণ স্বরুপ নিচের বিষয় গুলো জানা জরুরি। আর তা হলোঃ-

সার্চ ইঞ্জিন সম্পর্কে বিস্তারিত ধারনা

ওয়েবসাইট সম্পর্কে ভালো ধারনা

HTML এর সম্পর্কে ধারনা ইত্যাদি

ওয়েবসাইটের কনটেন্ট তৈরির কাজঃ-

কনটেন্ট শব্দের অর্থ হল আপনার লেখা, আপনার ওয়েবসাইটে আপনি যা লিখেন সেটাই হল কনটেন্ট। আর এই কনটেন্টই হল অন পেজ অপটিমাইজেশন এর মূল বিষয় বস্তুুগুলোর অন্তরভুক্ত ।সার্চ rank এর প্রথম অবস্থানে থাকার জন্য যে কয়েকটি শর্ত রয়েছে তার মধ্যে কনটেন্টের অগ্রাধিকার বেশি থাকে। তাই ভাল মানের কনটেন্ট ছাড়া এখন ওয়েব সাইট এর ranking এর কথা চিন্তাই করা যায় না। “Content is the king”।গুগল পাণ্ডা ও পেঙ্গুইন আপডেটের পর থেকে  ব্যাকলিংক বিল্ডিং অনেকটাই বিলুপ্ত হয়ে যাচ্ছে। ফলে ভালো মানের কনটেন্ট এর মুল্য বৃদ্ধি পাচ্ছে। তাই ভালো ভালো কনটেন্ট লিখে তারপর আপনার ওয়েবসাইট এ প্রকাশ করুন। তারপর ১৫ দিন অপেক্ষা করুন দেখবেন আপনার লেখা কনটেন্টটি গুগল সার্চ rank এর প্রথম থেকে ১০ম অবস্থানে চলে এসেছে। অবশ্যই অবশ্যই ইনডেক্স করতে হবে।

HTML কি এবং কেন?

HTML এর সম্পুর্ণ অর্থ হলো H= high per T=Text M=Multy L= Langauge  উচ্চ ক্ষমতা সম্পুর্ণ বহুমুখী ভাষা। HTML এর মধ্যে মেটা ট্যাগ রয়েছে। যেটি এসইওর জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে থাকে। মেটা ট্যাগ হল HTML এর এমন কিছু ট্যাগ যে গুলো আপনার ওয়েব সাইটের গুরুত্বপূর্ণ তথ্য গুলোকে সার্চ ইন্জিনের কাছে প্রকাশ করে থাকে।যেমনঃ- আপনার ওয়েবসাইটি কোন বিষয়ের উপর নির্ভর করে তৈরি করা, কোন দেশ থেকে তৈরি করা, এর ভিতরে কি কি আছে, সাইট ম্যাাপ, উদ্দেশ্য কি ইত্যাদি। ফলে
এই সকল ট্যাগের মধ্যকার লেখা গুলো কোন  ব্রাউজারে প্রকাশ পায় না (টাইটেল ট্যাগ বাদে). কিন্তু এই ট্যাগ ব্যবহারের ফলে সার্চ ইন্জিন বা অন্য ওয়েব ডেভলপাররা জানতে পারে ওয়েব সাইটের লেখক ,ওয়েব সাইট তৈরীর তারিখ, শেষ আপডেট করার সময় ইত্যাদি। তবে সকল ট্যাগ গুলোই SEO জন্য তেমন গুরুত্বপূর্ণ নয়।

খুবই গুরুত্বপূর্ণ ট্যাগ গুলোই হলোঃ-

(১) Description ট্যাগ

(২) টাইটেল ট্যাগ ও

(৩) কী ওয়ার্ড

এই তিনটি এসইওর জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ বিধায় এখন শুধুমাএ আমরা এই তিনটি বিষয় নিয়েই আলোচনা করব।

মেটা ট্যাগ ব্যবহারের গুরুত্ব ও প্রয়োজনীয়তা

এতক্ষণ ধরে মেটা ট্যাগ নিয়ে আমি যা বললাম তাতে হয়তো আপনার মনে আসতে পারে মেটা ট্যাগের প্রয়োজনীয়তা কি?তাহলে আসুন জেনে নিই মেটা ট্যাগ ব্যবহারের গুরুত্ব/প্রয়োজনীয়তা
সম্পর্কে।সাধারণত ওয়েবসাইটে মেটা ট্যাগ ২টি কারণে SEO তে গুরুত্বর্পর্ণ বিষয় হয়ে থাকে। আর তা হলোঃ–

১. মেটা ট্যাগ SERPs (Search Engine Result Page) সার্চ ইঞ্জিনের রেজাল্টের পেজে সাইটের তথ্য সরবারাহ করতে সাহায্যে করে।

২. মেটা ট্যাগের মাধ্যমে আপনার ওয়েব সাইটকে SEO তে ভাল স্থানে রাখার পাশাপাশি সাইটের অন্যান্য অংশ বিভিন্ন ভিজিটরদের কাছে প্রকাশ পায়।এবার আসি মেটা ট্যাগের বিস্তারিত বর্ণনায়।ওয়েবসাইট টাইটেল ব্যবহার।

টাইটেল ট্যাগের ব্যবহার

টাইটেল ট্যাগ হল একটি HTML এলিমেন্টস বা ট্যাগ। এটি মুলত একটি পেজ এর টাইটেলকে ব্রাউজার এ দেখানর জন্য ব্যবহার করা হয়।
তাছাড়া এই টাইটেল প্রতিটি সার্চ ইঞ্জিনের রেজাল্ট পেজ এ প্রদর্শন করে থাকে ।তাই এসইও তে কনটেন্ট এর পরেই এই টাইটেল ট্যাগের এর অবস্থান।যার কারণে অনপেজ অপটিমাইজেশন বা এসইও এর ক্ষেত্রে টাইটেল এর গুরুত্ব অনেক।আর একটি সুন্দর টাইটেল অনায়াসে আপনার সাইটে অধিক পরিমাণে
ভিজিটর (CRT) বাড়তে পারে।আপনার পছন্দের কী- ওয়ার্ডের দ্বারা টাইটেল ট্যাগ লেখার সময় কিছু কিছু বিষয় মাথায় রেখে কাজ করলে এইসও তে ভালো ফলাফল দেখতে পাবেন।

১.আপনার টাইটেল ৬৫ অক্ষরের মধ্যে রাখুন।

২.যথাসম্ভব আপনি ছোট করে টাইটেল দিবেন, আবার বেশি ছোট করতে গিয়ে অদ্ভুত করে ফেলার দরকার নেই।

৩.টাইটেলে অবশ্যই আপনার দেয়া টার্গেটকৃত কীওয়ার্ডটি ব্যবহার করুন।

৪. এ ধরণের চিহ্ন যেমন- ( @, #,!,%,^,() ….) ইত্যাদি ব্যবহার করা থেকে সম্পুর্ণ বিরত থাকুন।

৫. টাইটেল ট্যাগটিকে এমন ভাবে লিখবেন যাতে করে যে কেউ আপনার টাইটেল পড়ে আপনার সাইটে প্রবেশ করতে আগ্রহী হয়।

যেমন:-আপনার ওয়েবসাইটি যদি পাবজি/PUBG কী- ওয়ার্ড দিয়ে বানানো হয় তাহলে ভিজিটররা পাবজি/PUBG কী- ওয়ার্ড দিয়ে পাবজি/PUBG সম্পর্কে জানার জন্য ভিজিট করবে।সেখানে আপনি যদি আপনার টাইটেলর সাথে শুধু মাত্র Download কথাটি মিলিয়ে দেন  তাহলে কিন্তু হবে না। এখানে অবশ্যই অবশ্যই Download PUBG game লিখতে হবে।এর ফলে আপনার সাইটি যদি সার্চ ইঞ্জিনের ২-৫ নম্বরের মধ্যেও থাকে তবে আপনি অন্যদের তুলনায় বেশি ভিজিটর পেতে পারেন।

👉ওয়েবসাইটের পেজের জন্য ইউআরএল (URL) তৈরি যেভাবে করা উচিৎ।

SEO বা অন পেজ অপটিমাইজেশনের জন্য  ইউআরএল (URL)একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয়।বিশেষ করে রেংকিং পাওয়ার জন্য অবশ্যই এটি করা জুরুরি। আপনার সাইট যদি অথোরিটি সাইট না হয়ে থাকে এবং ভালো ভালো ইউআরএল না থাকে তাহলে সার্চ ইঞ্জিনে রেংকিং পাওয়া খুবই দুষ্কর হয়ে যাবে। তাই পেজের লিংক স্ট্রাকচার সবসময়ই এসইও বান্ধব হতে হবে।

পেজের লিংক তৈরির জন্য কিছু টিপস

(১) অবশ্যই অবশ্যই সাইটের লিংকের নামে আপনার টার্গেটকৃত কী-ওয়ার্ডটি রাখবেন।
উদাহরণ স্বরুপ আপনি “ How to learn
free seo tips for my new website” এই ধরনের কী-ওয়ার্ডকে টার্গেট করে পেজটি তৈরি করলেন। তাহলে আপনি আপনার পেজের নাম
এরূপ রাখতে পারে পারেন। “how-can-get free-  seo-tips-for-my new website.html

(২)আপনার পেজের লিংকের নাম দেয়ার সময়
ভুলেও  (), @,$&,৳,#=,<_>%\+)* এই ধরনের
অক্ষর ব্যবহার করবেন না।তবে হাইফেন ( – ) ব্যবহার করতে পারবেন। কারন সার্চ ইন্জিনে এই ধরনের অক্ষর ইনডেক্স করে না।

(৩) আপনার পেজের নাম দেয়ার সময় Skipping Word” ব্যবহার করবেন না।যেমনঃ-
a,in,of,to,এমন আকৃতির অক্ষরগুলো।

(৪) ওয়েব পেজের এক্সটেইনশন সবসময়ই
.html ,.htm .php রাখা ভালো।

(৫) আর আপনি যদি ওয়ার্ডপ্রেস ইউজ করে থাকেন। তাহলে Permalinks থেকে লিংক স্ট্রাকচার ডিফল্ট থেকে Custom এ গিয়ে %category%/%postname%/ বসিয়ে দিন। তাহলে আপনার লিংক স্ট্রাকচার চেঞ্জ হয়ে যাবে।

Description ট্যাগ কেন ব্যবহার করা হয়?

এই Description ট্যাগটি ব্যবহার করা হয় আপনার সাইটের বা ওয়েব পেজের একটা ছোট বর্ণনা দেবার জন্য।আমরা যেমন অনেক সময় একটা বিশদ বিষয়কে সংক্ষেপে প্রকাশ করি তেমনি Description ট্যাগের মাধ্যমে সার্চ ইঞ্জিনকে আমরা আমাদের ওয়েব পেজের একটা সংক্ষিপ্ত বিবরণ দিয়ে থাকি। আপনি আপনার ওয়েব পেজ এ  যে ড্রেস্ক্রিপশন দিবেন সেটি SERPs পেজে সার্চ ইঞ্জিন গুলো প্রকাশ করে।অবশ্যই ড্রেস্ক্রিপশন সুন্দর ও সহজ হবে।
কিছু টিপস এর মাধ্যমে আপনি সুন্দর একটা Description আপনার সাইটের জন্য লিখতে পারবেন। যেমনঃ- নিচে 👇লক্ষ্য করুন।

১.আপনার Description টি ১৬০ অক্ষরের মধ্যেই রাখুন। কেননা প্রায় সকল সার্চ ইঞ্জিন ১৬০ অক্ষরের বেশী তাদের SERPs পেজে প্রকাশ করে না।

২.কোন ক্রমেই এই ট্যাগের বানান ভুল করা যাবে না।

৩. ট্যাগটিতে আপনার বাছাইকৃত কী-ওয়ার্ড লিখুন। তবে খেয়াল রাখবেন কোন কী-ওয়ার্ড বা বিষয় যেন ৩ বারের বেশি ব্যবহার না করা হয়।

৪. সব পেজের Description ট্যাগটি যাতে একই না হয় সেইদিকে খেয়াল রাখবেন।

কী-ওয়ার্ড ট্যাগের ব্যবহার কিভাবে করবেন?

কী-ওয়ার্ড ট্যাগ হল আপনার সাইটে যেসকল কী-ওয়ার্ড ব্যবহার করেন তার একটা সূচিপত্র হিসাবে কাজ করে থাকে। ওয়েব সাইট ডিজাইনের সময় আমরা অনেক ধরনের মেটা ট্যাগ নিয়ে কাজ করি।তার মধ্যে কয়েকটি হচ্ছে <meta name=”keywords”content=”some keyword,another keyword” />এই ট্যাগটি “মেটা কী-ওয়ার্ড ট্যাগ” নামে পরিচিত।এই মেটা কী-ওয়ার্ড ট্যাগ দ্বারা আপনি আপনার সাইটের কী-ওয়ার্ড ব্যবহারের কাজ করতে পারবেন।এ জন্য আপনি আপনার সাইটের HTML এডিটর পেজে গিয়ে ও ট্যাগ এর মধ্যে আপনার বাছাই করা কী-ওয়ার্ডটি বসিয়ে দিন।ব্যাস হয়ে গেল আপনার সাইটে মেটা ট্যাগ ব্যবহার করা।আরো অনেক মেটা ট্যাগ আমরা সাইটে ব্যবহার করে থাকি ।এসব ট্যাগের ব্যবহার জানতে গুগল সাচ করুন। আর তাছাড়াও ছোট বড় আরও অনেক ধরনের মেটা ট্যাগ ও কী-ওয়ার্ড রয়েছে। আর তা হলোঃ-

১. আপনি সাইটের জন্য যে কী-ওয়ার্ডটির উপর ভিত্তি করে বানাবেন সেই কী-ওয়ার্ডটি যেন আপনার মেটা কী-ওয়ার্ড ট্যাগে ৩ বারের বেশি না থাকে।

২. আপনার সাইটে সর্বোচ্চ ১ বার মেটা কী- ওয়ার্ড ট্যাগ ব্যবহার করুন।

৩. মেটা কী-ওয়ার্ড ট্যাগে একই ধরনের  কী-ওয়ার্ড বার বার না লিখে অন্য ভাবে তা লেখার চেষ্টা করুন,যেমন প্রথমে যদি লেখেন Download PUBG game তা হলে সেটাকে একটু ঘুরিয়ে নিয়ে download PUBG game 2020 বা আরও একটু পরিবর্তন করে download PUBG game from online 2020  করে লিখতে পারেন।

৪. প্রতিটি কী-ওয়ার্ডের পর একটি করে কমা(,) ব্যবহার করুন.এতে করে ভালো হবে।

৫. অযথা বেশি কী-ওয়ার্ড দিয়ে আপনার মেটা ট্যাগ জ্যাম করে ফেলবেন না।কারণ এতে করে  হিতে বিপরীত হতে পারে।

কী-ওয়ার্ডের ট্যাগের  গুরুত্বঃ-

বেশ কিছুদিন আগেও কী-ওয়ার্ডের ট্যাগ তেমন কোন কাজে আসতো না আবার অনেকে বলেছিল যে এই ট্যাগ এখন আর কাজ করে না। কিন্তু ইদানিং গুগল নিজেও এই ট্যাগকে গুরুত্ব সহকারে দেখে। তাই এই কী-ওয়ার্ড ট্যাগ কে বাদ না দেয়াই শ্রেয়।আপনার ওয়েবসাইট এ <h >থেকে <h2>ট্যাগ ব্যবহার করুন।যেমনঃ h1,h2,h3 ,h4,h5,h6 ট্যাগ গুলোর মধ্যে ব্যবহার করুন। কারণ সার্চ ইন্জিন গুলো আপনার ওয়েব সাইটের Bold ,Italic Underine এই ট্যাগ গুলো থেকে h1,h2 তাদের এললগারিদমে বেশি প্রাধান্য দিয়ে থাকে।মূলত সার্চ ইঞ্জিন এগুলকে একটি পেজ এর টাইটেল বা শিরোনাম হিসাবে ধরে। আর যদি আপনি গুগল এডেসেন্স ব্যবহার করেন তাহলে ইন্জিন <h1 >থেকে <h3 > ট্যাগ গুলোর মধ্যে যে কী ওয়ার্ড গুগল থাকে ওগুলো থেকে এড দেয়ার চেষ্টা করে। কোন সার্চ ইন্জিন যখন কোন পেজ ক্রাউলিং করে তখন সে যদি <h1 >থেকে <h3> এর মধ্যে কোন ট্যাগ খুজে পায় তাহলে সে সেটিকে ঐ কন্টেট বা পেজ এর হেডলাইন বা শিরোনাম হিসাবে গ্রহণ করে। তাই অন-পেজ অপটিমাই জেশনে এই ট্যাগ গুলো ব্যবহার করলে সার্চ ইন্জিনের জন্য আপনার সাইট অনেক অংশেই তৈরী হয়ে যাবে।আসুন দেখে আসি কিভাবে ব্যবহার করবেন।

১. কোন লেখা শুরু করার প্রথমেই <h1>বা  <h2>ট্যাগ ব্যবহার করুন শিরোনাম হিসাবে।

২. এই ট্যাগের মধ্যে আপনি আপনার কাংখিত কী-ওয়ার্ডটি ব্যবহার করুন।

৩. যথা সম্ভব ৬০ অক্ষরের মধ্যে রাখতে চেষ্টা করুন।

৪. একই কী-ওয়ার্ড বার বার ব্যবহার করা থেকে বিরত থাকুন।না হলে সার্চ ইন্জিন গুলো এটিকে স্প্যামিং হিসাবে ধরে নিবে।

৫. লেখার মাঝখানে মাঝখানে < h2>বা অন্য গুলো উপ শিরোনাম হিসাবে ব্যবহার করার চেষ্টা করুন।এতে করে আপনার সাইটটি অনেকটা ন্যাচারেল মনে হবে।আর প্রতিটি সার্চ ইন্জিনই সাইটের নমনীয়তা বা ন্যাচারেল ভাবটিকে সবচেয়ে বেশি পছন্দ করে। অবশ্যই ইমেজে ALT ট্যাগ ব্যবহার করবেন।কারণ প্রায় ২০% সার্চ হয় ইমেজে। ফলে আপনার সাইটের জন্য কিছু ইমেজ থেকে ভিজিটর পাবেন। আর না বাড়িয়ে আজ এই পর্যন্তই ভালো থাকুন, সুস্থ্য থাকুন সবসময়ই এই কামনাই রইল। আর হে যদি আপনার ১০০% ইউনিক কনটেন্ট দরকার হয়। তাহলে আপনি আমার সাথে যোগাযোগ করুন প্রতিটি কনটেন্ট বিক্রি মূল্য মাএ ১০০ টাকা কোন ধরনের ভেজাল নেই। লেখক মোঃ লোকমান হোসেন।

Related Posts

12 Comments

মন্তব্য করুন