চলুন চিনে রাখি রোগটি – আপনার দৈনন্দিন জীবনে অনেক উপকারে আসবে

আইবিএস আমাদের দেশের খুবই পরিচিত একটি অসুখ। এটি মুলত দীর্ঘমেয়াদি পেটের অসুখ যেখানে আমাদের পরিপাকতন্ত্র বাজেভাবে আক্রান্ত হয়। আইবিএস এ আক্রান্ত হলে সেই রোগির ভোগান্তির শেষ থাকে না। আক্রান্ত রোগিদের হটাথ করে তীব্রপেটব্যথা হয়।সময় সময়  পেট মোচড় দিয়ে ওঠে এবং সাথে সাথে টয়লেট এ যেতে হয়। কখনো কখনো  এমনটা দিনে পাচ ছয় বারও হতে পারে। বধহজম, আমাশয়, গ্যাসের সমস্যা নিত্যসাথি হয়ে দাঁড়ায়।বিভিন্ন কারণে মানসিক উদ্দিগ্নতা বাড়লে এই সমস্যা আরও বেড়ে যায়

সাধারণত পেটে ব্যাকটেরিয়া বা ভাইরাস জনিত তীব্র ডায়রিয়া থেকে এই রোগের উদ্ভব ঘটতে পারে।পাশাপাশি দুশ্চিন্তা ও বিষন্নতা এই রোগের অন্যতম প্রভাবক হিসেবে দেখা দিতে পারে।বদহজম,পেটের মধ্যে ভুটভুট শব্দ করে, পেটের ভিতর কক কক করে ডাকা বা আহারের পর পেটে অশান্তি বৃধ্যি, পায়খানার সঙ্গে বিজল যায়, পেটে কামড় দিয়ে ব্যাথা করে, বাথ্রুম সারার পরও মনে হয় যেন এখনো ভিতরে কি যেন আটকে আছে ইত্যাদি এই রোগের অন্যতম উপসর্গ।মাঝে মধ্যে বাথরুম নরম হবে, মাঝে মধ্যে কোষ্ঠকাঠিন্য হবে। সাধারণত রোগের বর্ণনা থেকেই এই রোগ শনাক্ত করা যায়।

আইবিএস রোগিদের খাবার ব্যাপারে বিশেষ সতর্ক থাকতে হবে। রোগিদের অনেকের ক্ষেত্রে ল্যাকটোজ ইন্টলারেন্স থাকে।ল্যাকটোজ ইন্টলারেন্স  যাদের থাকে তাদের দুধ জাতীয় খাবার খেলে পেটের ভিতর ব্যাথা হয়, পেটে মোচড় দিয়ে ওঠে এবং আমাশয় হয়। তাই যেসব আইবিএস রোগিদের দুধ খেলে সমস্যা হয় তারা অবশ্যই দুধ এবং দুধের তৈরি সমস্ত খাবার বর্জন করবেন। আমাদের দেশের অনেকেই মিষ্টি, পায়েস, ক্ষির জাতীয় খাবার খুব পছন্দ করেন।আইবিএস যাদের আছে তারা অবশ্যই এই সকল খাবার পরিহার করে চলবেন।কারন এই সকল খাবার দুধ থেকেই তৈরি করা হয়। এসব খাবার খেলে কষ্ট হতে পারে।

পাশাপাশি। যারা আইবিএস রোগি তারা শাকসব্জি খাবার থেকে দূরে থাকবেন।এসব খেলে আইবিএস রোগির অনেক কষ্ট হয়। এছাড়া তেল চর্বি জাতীয় খাবার, হোটেলের তৈরি করা খাবার এবং ভাজাপোড়া আইবিএস রোগিদের বর্জন করা উচিত। অনেক আইবিএস রোগিদের সমস্যা হয় গম জাতীয় খাবার খেলে।আইবিএস থাকলে তাই বর্জন করা উচিত গমের তৈরি করা বিভিন্ন খাবার।গমের তৈরি করা রুটি,বিস্কুট, চানাচুর এসব জাতীয় খাবার খেলে আইবিএস রোগিদের কষ্ট বেড়ে যেতে পারে।আইবিএস রোগিরা বাসায় তৈরি অন্যান্য খাবার এবং সব্জি খেতে পারবেন।এছাড়া মাছ, মাংস এবং বাসায় তৈরি করা অন্যান্য খাবার কম মসলা দিয়ে খেতে পারবেন।অতিরিক্ত মসলা এবং বেশি ভাজা জাতীয় খাবার আইবিএস রোগিদের না খাওয়াই ভালো।

আর অবশ্যই পচা বাসি খাবার সর্বদা বর্জন কর‍্যে হবে। এসব খেলে আমাশয় এর তীব্রতা বেড়ে যাবে এবং  পেটে নানারকম অসস্তি হবে। আইবিএস রোগিদের জন্য সবচেয়ে নিরাপদ হলো বাসায় তৈরি করা খাবার।খাবারের ব্যাপারে সতর্ক তগাজলে আইবিএস রোগিরাও সুস্থ থাকবেন।

এর পরেও কারো মনে কোনো রকম প্রশ্ন থাকলে কনেন্টে অবশ্যই জানাবেন।সবাই সুস্থ থাকবেন ভালো থাকবেন, আসসালামু আলাইকুম।

Related Posts

9 Comments

মন্তব্য করুন