আমরা অনেকেই মুড়ি খেতে ভালোবাসি। মুড়ি থেকে আগে, আমরা জেনেছি, এটি দিয়ে শুধু ঝাল মুড়ি কিংবা “মোয়া”বানানো যায়/তবে এখন নিত্য নতুন আইডিয়া আর প্রযুক্তির কল্যাণে একই জিনিসের নানাবিধ ব্যবহার আমরা শিখতে পেরেছি। তেমনি একটি চমৎকার রেসিপি, আজ আপনাদের সাথে শেয়ার করছি।মুড়ি দিয়ে, বানিয়ে ফেলতে পারি চমচম কিংবা মিষ্টি।
আসুন জেনে নেই মুড়ি দিয়ে কিভাবে চমচম কিংবা মিষ্টি বানাতে পারি?
মুড়ি দিয়ে মিষ্টি কিংবা চমচম বানানো মুড়ির মত সোজা।আসুন কথা না বাড়িয়ে রেসিপিটি শিখে নিন।
মুড়ি দিয়ে, চমচম বানাতে যে সকল উপকরনের দরকার হবে।
- পরিমান মত ভাজা মুড়ি। মচমচে মুড়ি। যতটুকু আপনি বানাবেন ততটুকু মুড়ি নিবেন।(এখানে আমি এক কেজি পরিমাণ হিসেবে উল্লেখ করছি)
- 1 লিটার গরুর দুধ।
- 200 গ্রাম বেকিং সোডা
- পরিমান মত তেল।
- হাফ কেজি চিনি।
- 100 গ্রাম গরুর দুধ।
- সামান্য পরিমাণ ঘী।
এবার আসুন জেনে নেই পদ্ধতি:
- প্রথমে মুড়ি গুলো একটু ভেজে মচমচে করে নিন।
- ব্লেন্ডারে মুড়ি গুলো খুব ভালো করে মিশিয়ে নিন। দেখতে কিছুটা চাউলের গুড়ার মত হয়ে যাবে। আপনি চাইলে পাঠাতে কিংবা ছাচনি তেও গুঁড়ো করে ফেলতে পারেন।
- এবার একটি প্যানে দুধ ঢেলে দিন/অল্প আঁচে দুটি জ্বাল দিতে থাকুন/এবার তাতে মুড়ির গুলো গুলো ঢেলে দিন/খুব ভালোভাবে দুটিকে একত্রে মিশিয়ে নাড়তে থাকুন/যতক্ষণ পর্যন্ত না এটি গারো গারো ভাব আসে/একটা সময় দেখবেন পেস্টের মত হয়ে এসেছে/ভালোভাবে মেশাতে থাকুন/একবার সেখানে বেকিং সোডা ও গুঁড়ো দুধ সহ মিক্সিং করুন। খুব ভালোভাবে মেশাবেন। যত ভালোভাবে মেশাবেন মিষ্টি কিংবা চমচম ততো ভালো দেখাবে।
- অন্য একটি প্যানে চিনি দিয়ে সিরা বানান। এটি খুব সোজা সামান্য একটু পানির মধ্যে চিনি ছেড়ে দিয়ে জ্বাল দিতে থাকুন।
- এবার দুধ আর মুড়ির গুঁড়ো দিয়ে যে পেস্ট তৈরি হয়েছে, সেটি দিয়ে হাতের তালুর সাহায্যে, লম্বা কিংবা গোলাকার আকৃতি করে বানাতে থাকুন। মিষ্টির ঠিক যতটুকু সাইজ হয় আনুমানিক ঠিক ততটুকু সাইজিং করুন। একদম সোজা। গোল গোল কিংবা লম্বা লম্বা করে আকৃতি দিন।
- এবারের অন্য একটি প্যানে তেল ঢেলে নিন। মনে রাখবেন খুব অল্প তাপে রাখতে হবে আগুন। তারপর তেল একটু গরম হয়ে গেলে, তাতে আপনি যে মিষ্টির সাইজের আকৃতি গুলো তৈরি করেছেন, সেগুলো সেই তেলের মধ্যে দিয়ে ভাজতে থাকুন। এখানে আপনাকে অন্য কিছু দিন আসতে হবে না। জাস্ট তেলের মধ্যে ছেড়ে দিন। সেগুলো আপনা আপনি তেজে ভেসে উঠবে। দেখবেন খুব সুন্দর কালচে কালচে কালার হয়েছে। তারপর যখন সেগুলো ভাজা হয়ে যাবে তখন কিছু দিয়ে নাড়তে থাকুন। আস্তে আস্তে নাড়বেন যাতে ডিজাইন গুলো ভেঙ্গে না যায়।
- ভাজা হয়ে গেলে, এবার সেই মিষ্টি গুলো তে একটু ঘি দিয়ে মাখিয়ে নিন। তারপর একই পদ্ধতিতে অল্প তাপমাত্রায় হালকা একটু ভেজে নিন। এবার তাতে একটু গুঁড়োদুধ মিক্সিং করে নিন। তারপর সে গুলোকে ফ্রিজে একটু ঠান্ডা করুন।
- চিনি দিয়ে বানানো সিরকার মধ্যে, এবার মিষ্টি কিংবা চমচম গুলো ঢালুন। একদম ডুবিয়ে দিবেন। তাতে সেগুলোর টেস্ট আরো বেড়ে যাবে।
- এবার সুন্দর একটি পাত্রে আস্তে আস্তে সেইভাবে একের একের পর এক তুলে আনুন। খুব সুন্দর করে সাজানো হয়ে গেলে, সিরকা রস গুলো উপরে ঢেলে দিন। এতে খুব চমৎকার দেখাবে।
- এবার এবার এগুলো খাওয়ার জন্য সম্পূর্ণ উপযোগী। হয়ে গেল আপনার মুড়ি থেকে চমচম। এবার সবার সাথে সেটি শেয়ার করুন।
মিষ্টি কিংবা চমচম এখন বানানো অনেক সোজা। যে কেউ চাইলেই ঘরে বসে মুড়ি দিয়ে, চমচম বানিয়ে ফেলতে পারেন। সবাইকে চমকে দিন। এখন শুধু মুড়ির দিন। এভাবে আপনি খুব সহজেই মুড়ি দিয়ে চমৎকারভাবে মিষ্টি কিংবা চমচম বানিয়ে ফেলতে পারেন।
রাইটিং :::::: মমিন সাগর::;;;;
- (উপকরণগুলো আমি আবার বলে দিচ্ছি:)
- ভাজা মুড়ি
- বেকিং সোডা
- ঘী
- গুঁড়ো দুধ
- চিনি
- পরিমান মত তেল। (সয়াবিন তেল)
সুতরাং এখনই বানিয়ে ফেলুন, মিষ্টি কিংবা চমচম। আপনার হাতের কাছে থাকা মুড়ি দিয়ে। এটি বানানো মুড়ির মতই সহজ।