রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করার ৭টি উপায়

আমাদের আশেপাশে ছড়িয়ে-ছিটিয়ে আছে বিভিন্ন ধরনের  রোগ জীবানু।   এসব রোগজীবাণু থেকে বাচার জন্য আমাদেরকে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা    বৃদ্ধি করতে হবে।কিছু নিয়মের মাধ্যমে আমরা রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করতে পারি।সেরকমেই রোগ প্রতিরোধ ৭টি টিপস নিয়ে আলোচনা করব-

১.খাদ্যভ্যাস

সুষম ও পুষ্টিকর খাবার খেতে হবে। প্রচুর পরিমানে শাকসবজি ও ফলমূল খেতে হবে। ফলের রসে পরিবর্তে গোটা ফল চিবিয়ে খেলে ভালো হবে। পর্যাপ্ত পরিমাণে পানি পান করতে হবে, দিনে 8 থেকে 10 গ্লাস। ফাস্টফুড, তেল -চর্বি ইত্যাদি জাঙ্ক জাতীয় খাবার পরিহার করতে হবে।

২/ ভিটামিনস ও মিনারেল 

ভিটামিন ও মিনারেল রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধিতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। ভিটামিন সি এর প্রাকৃতিক উৎস হচ্ছে টক জাতীয় ফল। যেমন – লেবু, কমলা, মাল্টা ইত্যাদি ।এ ছাড়াও বাজারে ট্যাবলেট আকারের বিভিন্ন ধরনের ভিটামিন সি ট্যাবলেট পাওয়া যায়। তবে  প্রাকৃতিক উৎস থেকে পাওয়া ভিটামিন সি এর কার্যকারিতা বেশি।

ভিটামিন ডি এর প্রাকৃতিক উৎস হচ্ছে সূর্য রশ্মি। সকাল 10 টা থেকে বিকাল 4 টা পর্যন্ত শরীরের কিছু অংশ করে যেমন মুখমন্ডলে সূর্য তাপ লাগাতে পারেন। এছাড়াও বিভিন্ন ধরনের ভিটামিন ডি সমৃদ্ধ  খাবার আছে যেমন, ডিমের কুসুম, মাছের তেল, গরুর কলিজা ইত্যাদি প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন ডি রয়েছে।

জিংক- সর্দি কাশি নিরাময়ে জিংক এর বেশ উপকারিতা রয়েছে। বিভিন্ন ধরনের জিঙ্ক সমৃদ্ধ খাবার আছে সেগুলো খেয়ে আমরা রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করতে পারি।

               ৩/শরীরচর্চা 

শরীরকে সুস্থ রাখতে ও রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে শরীরচর্চা র বিকল্প নেই। প্রাপ্ত বয়স্কদের প্রতিদিন 30 মিনিট শরীরচর্চা করা এবং বাচ্চাদের একঘন্টা শরীরচর্চা করা উচিত। ঘরে থেকেও আমরা বিভিন্ন ধরনের শরীরচর্চা করতে পারি। যেমন-হাটাহাটি,ইয়োগা,সিড়ি দিয়ে ওঠা নামা ইত্যাদি।

        ৪/ওজন নিয়ন্ত্রণে রাখা

শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা অটুট রাখতে অটুট রাখতে ওজন নিয়ন্ত্রণে রাখার ভূমিকা অপরিহার্য। খাবার পরিমিত খেতে হবে এবংমাসে একবার ওজন মাপতে হবে।

            ৫/পর্যাপ্ত পরিমানে ঘুমানো

ঘুম অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ একটি বিষয়। প্রতিদিন 8 ঘন্টা ঘুমানো উচিত। পর্যাপ্ত পরিমাণে বিশ্রাম আমাদেরকে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করতে সাহায্য করে।

৬/পরিস্কারর পরিচ্ছন্ন থাকা

পরিচ্ছন্নতা আশেপাশের আশেপাশের পরিবেশ পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন রাখা খুবই জরুরি। এর ফলে বিভিন্ন ধরনের সংক্রমক  রোগ মুক্ত থাকা যায় নির্দিষ্ট সময় পর পর সাবান দিয়ে হাত ধোয়া, প্রতিদিন গোসল করা, ব্যবহার্য জিনিসপত্র জীবানুনাশক দিয়ে পরিষ্কার করা। বাসাবাড়ি পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন রাখা দরজার হাতল, লিফটের বাটন জীবাণুনাশক দিয়ে পরিষ্কার রাখা।

৭/মানসিক চাপ মুক্ত থাকা

অতিরিক্ত মানসিক চাপে আমাদের শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা কমে যেতে পারে। তাই মানসিক চাপমুক্ত থাকার চেষ্টা করতে হবে, নতুন কিছু শিখতে মনোনিবেশ করতে হবে। মেডিটেশন একটি ভালো উপায় মনকে শান্ত রাখার।

★ধুমপান পরিহারর করতে হবে।ধূমপান সরাসরি শ্বাসতন্ত্র ক্ষতিগ্রস্ত করে তাই ধুমপান বাদ দিতে হবে এছাড়াও ক্যান্সারহতে পারে।

Related Posts

10 Comments

মন্তব্য করুন