কেমন আছেন সবাই?আশা করি সবাই ভালো আছেন।আমরা ইন্টারনেট ব্যবহার করার জন্য,পড়াশোনা করার জন্য,যোগাযোগ করার জন্য,ভিডিও বা গান বা ছবি দেখার জন্য অনেকেই ল্যাপটপ কিনে থাকি।কেও কেও ফ্রিল্যান্সিং কাজ করার জন্য ও ল্যাপটপ কিনে থাকে।কিন্তু আমরা যখন ল্যাপটপটি কিনি আমাদের একেবারে অল্প ধারণা থাকে এটার উপর।তাই আমরা সর্তকতার সাথে এটি ব্যবহার করি না।ফলে কিছুদিনের মধ্যেই দেখা যায় আমাদের ল্যাপটপটি আগের থেকে অনেক ধীর গতি সম্পুর্ণ হয়ে গিয়েছে।তার ফলে আগের মতো আমরা আর ল্যাপটপটিতে ইন্টারনেট ব্রাউজ করতে পারি না।আবার অনেজ কারনে এই ল্যাপটপটিকে আমরা অপব্যবহার ও করে থাকি।ফলে কিছুদিনের মধ্যেই আমাদের ইচ্ছে করে আবার একটা ল্যাপটপ কিনতে পারতাম!কিন্তু আজকে আমি এমন কিছু উপায় বলবো যেগুলোর মাধ্যমে আপনি আপনার ল্যাপটপটিকে অনেক দিন পর্যন্ত ব্যবহার করতে পারবেন।কিন্তু ল্যাপটপের কিছুই হবে না।তো এরকম কিছু উপায় জেনে নেওয়া যাক।
১.আমাদের অবশ্যই খেয়াল রাখতে হবে কোনো তরল জাতীয় পান করার সময় ল্যাপটপ থেকে যেনো তা একটু দূরে থাকে।কারণ তরল জাতীয় খাবার যদি ল্যাপটপের উপর পরে তাহলে ল্যাপটপের কিবোর্ড অনেক ধীর গতিতে কাজ করবে।তাছাড়াও বিদ্যুতের ভয় ও রয়েছে।
২.ল্যাপটপের মান অনুযায়ী সফটওয়্যার ইন্সটল করতে হবে।অতিরিক্ত গ্রাফিক্সের সফটওয়্যারগুলো সাধারণত ল্যাপটপে ব্যবহার করা যায় না।তার জন্য কম্পিউটারের দরকার হয়।আপনি যদি এগুলো ইন্সটল করেন তাহলে নতুন অবস্থায় হয়তো সমস্যা দেখতে পাবেন না।কিন্তু একটা সময় পর দেখবেন আপনার ল্যাপটপ আর আগের মতো কাজ করছে না।
৩.ল্যাপটপ ব্যবহার করার ক্ষেত্রে অবশ্যই মানসিকভাবে প্রস্তুত হয়ে তারপর ব্যবহার করা উচিত।অনেক সময় দেখা যায় আমরা কোনো গেমস খেলায় হেরে গেলে,চার্জ একদম কম থাকলে,খেলা দেখার সময় প্রিয় দলটি হেরে গেলে এবং নেট স্পিড একটু ধীর দেখা দিলে আমরা ল্যাপটপটিকে ভেঙে ফেলি।যা করা উচিত না।এইসব সমস্যাগুলোর জন্য কোনো সময় ল্যাপটপ দায়ী হতে পারে না।
৪.ল্যাপটপটি বাইরে নিয়ে যাওয়ার সময় অবশ্যই ল্যাপটপ ব্যাগ ব্যবহার করবে।কারন প্রযুক্তি ব্যবহার করার ক্ষেত্রে আমাদের সবসময় সাবধানতা থাকা দরকার।
৫.ল্যাপটপের উপর কখনোই ভারী বস্তু রাখা উচিত না।অনেকেই ল্যাপটপের উপর বই-খাতা রাখে।যদি একটু ভারী বস্তু ল্যাপটপের উপর রাখা হয় তাহলে ল্যাপটপের ডিসপ্লেটা ভেঙে যাওয়ার সম্ভাবনা থাকে।
৬.ল্যাপটপটিকে প্রতি ১ বছর পর একবার অন্তত চেক-আপ করা উচিত।যার ফলে ল্যাপটপের মধ্যে কোনো সমস্যা থাকলে তা সহজেই আমরা জানতে পারবো।
৭.ল্যাপটপের অনেক সফটওয়্যার আছে যেগুলোতে প্রচুর পরিমানে ভাইরাস থাকে।তাই আমাদের উচিত ভালো এন্টিভাইরাস সফটওয়্যার ব্যবহার করা।
৮.যেই এপ্পস বা সফটওয়্যারগুলো আপনার আর কোনো প্রয়োজন নেই অবশ্যই সেগুলো ল্যাপটপে রেখে না দিয়ে আনইন্সটল করে দেওয়া উচিৎ।
আপনি যদি নতুন ল্যাপটপ কিনে থাকেন বা ভবিষ্যতে ল্যাপটপ কিনার পরিকল্পনা থাকে তাহলে এই ৮ টি সর্তকতা মেনে ল্যাপটপ ব্যবহার করবেন।তাহলে বলা যেতে পারে,আপনি দীর্ঘদিন ধরে ল্যাপটপটি ব্যবহার করতে পারবেন।ভালো থাকবেন সবাই,ধন্যবাদ।