আসলে সময় ও যুগের চাহিদার প্রেক্ষিতে নিজেকে গতিশীল করা এবং আপডেট করার কোন বিকল্প নাই। আমরা কলেজ বা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে পড়াশোনা শেষ করে কোন রকম একটা চাকুরিতে ঢুকেই মনে করি,এখানে হয়তো সবকিছু সম্পূর্ণ করেছি। নিজের অজনরে জন্য আর কিছু বাকি নেই । আসলে বাস্তবতা অনেক টা ভিন্ন।যত দিন যাচ্ছে প্রতিযোগিতা ততই বাড়ছে সেই সাথে পাল্লা দিয়ে বাড়ছে কাজের ভিন্নতা, তাই নিজেকে এক জায়গায় বোতল বন্দী করে রাখার দিন শেষ। আপনি যত উপরের দিকে উঠতে থাকবেন ততই আপনার সুযোগ ছোট হয়ে আসবে এবং ঝুকি ও বাড়তে থাকবে।
অনেক ক্ষেত্রেই দেখি অনেক অভিজ্ঞ এবং বয়জোষ্ঠ লোক জন বলতে থাকে সেদিনকার ছেলে/মেয়ে কিছু না বুঝেই তরতর করে উপরে উঠে যাচ্ছে এবং সবার উপরে ছড়ি ঘুরাচ্ছে। কিন্তু তাদের নিজেদের যখন উন্নয়ন করার দরকার ছিল তখন তা করেনি তাই পিছিয়ে পড়ে্ছে। সময় হয়েছে নিজেকে বদলাবার এখন কর্মক্ষেত্রে নিজের অবস্থান নির্ভর করে কর্ম দক্ষতার উপর, অভিজ্ঞতার পরিধির উপর না। তাই নিজেকে আরো কর্মদক্ষ করে তুলুন সময়ের চাহিদার উপর.আপনি যদি সবাইকে খুশি রাখতে চান, তবে আপনি দ্রুতই বিগলিত হবেন। যদি নিজেকে সব সময় সফল ও সুখি দেখতে চান, তবে তীব্র আবেগপ্রবণ হবেন। শুধু নিজে পাওয়া আর ভোগে নয়, অন্যের জন্য ত্যাগেও সুখি হওয়া যায়।
আপনি যদি অন্যের সিদ্ধান্ত দ্বারাই প্রভাবিত হন, মান-অভিমান-জড়তা কাটিয়ে নিজের সিদ্ধান্ত জানাতে না পারেন তবে আপনার ভেতরের চিন্তাধারা -স্বপ্ন কখনো আলোর মুখ দেখবে না।দায়িত্ব নিতে শিখুন, কর্মক্ষেত্রে নিজের কাজ গুলো দায়িত্ব নিয়ে করুন। আপনার নিজের করতে হবে বা আপনার অধিনস্থ কাউকে কাজ দিচ্ছেন, বা কোনো ভুল কাজকে ঠিক করা, যাই হোক না কেনো তা সম্পূর্ণ মনোযোগ দিয়ে করুন। আপনার হাতে যে কাজটি আছে তা দিয়েই আপনার নিজের প্রতিভা দেখাতে হবে অন্যকে। আর যখন যে কাজটি করবেন তখন সে কাজের লক্ষ্য নির্ধারন করুন আগে। লক্ষ্য নির্ধারন করলে আপনি কাজটির সাথে খুব ভালোভাবে মিলিত হয়ে যাবেন।
এতে করে আপনার কাজ ভালো হবে এবং আপনার ব্যাক্তিত্বের ভালো গুরুত্ব পড়বে আপনার কর্মক্ষেত্রে। আর নিজের সৃজনশীলতা দিয়ে যেকোন কাজকে সম্পন্ন করুন এতে ভালোভাবে করতে পারবেন এবং আপনার আত্ন উন্নতি হবে। নিজের মস্তিষ্ক ব্যবহার করে যিনি সিদ্ধান্ত নিতে পারেন না তার পক্ষে প্রকৃত স্বাধীন-মুক্ত জীবন যাপন করা সম্ভব হয় না। ভাবনার জগৎ সুন্দর হলে কর্মও সুন্দর হবে। ভাবনার ও চিন্তার জগৎপরিচ্ছন্ন করতে হবে। যার ভাবনা যত সুন্দর তার জীবনও তত সুন্দর। শেখার কোন শেষ নেই আর ছোট ছোট প্রাপ্তির গুরুত্ব ও কম নয় । তাই ছোট উন্নতির জায়গা গুলোতে আমাদের গুরুত্ব দেওয়া উচিত। সফল হওয়া সহজ কাজ নয়।
নারী বা পুরুষ যেকোন মানুষের জন্যই কঠিন কাজ সেটি। জীবনের যে ক্ষেত্রেই আপনি সফল হতে চান, আপনাকে নিজের যত্ন নিতে শিখতে হবে। যদি আপনি নিজেকে সবচাইতে বেশি গুরুত্ব দিতে না পারেন, তাহলে আপনি জীবনের ভারসাম্য খুঁজে পাবেন না।এরপরই আসবে আপনার সবচাইতে কাছের মানুষেরা, মানে পরিবার ও ঘনিষ্ঠ মানুষেরা। তাদের জীবনের দৈনন্দিন খবরাখবর রাখুন। যদিও হয়ত রোজ এ কাজটি করা কঠিন, তবু চেষ্টা করুন।কোন কাজে ব্যর্থ হলে ভাববেন না আপনার জীবন শেষ। বরং ভাবুন এটা আপনার জীবনের একটা ‘কমা’ মানে স্বল্প বিরতি, ‘ফুলস্টপ’ বা শেষ নয়। এখন বা এই মুহূর্তে হয়নি বা হওয়ার সম্ভাবনা নেই এমন কিছু কাল হবে না, তার কোন মানে নেই।আমাদের সব সময় সৃষ্টিশীল হতে হবে।
আমি বিশ্বাস করি আমরা যদি নিজেদের কে যথার্থ আপডেট করি ,নিজেদের ভাবনা গুলো আরো সুন্দর করি,যদি আমরা সবাই মিলে একযোগে কাজ করি ,সাফল্য একদিন আমাদের হাতে ধরা দিতে বাধ্য । আমরা বাংলাদেশি জাতি হিসাবে নাম্বার ওয়ান হবো একদিন ইনশাল্লাহ। তাাই আসুন আমাদের গ্রুপের সদস্য বাড়ছে আপনি ও আপনার ভাই, বোন, বন্ধু, সহকর্মী, সহপাঠী এবং সিনিয়ার বা জুনিয়ারদের আমাদের গ্রাথর গ্রুপে যুক্ত করেন। আপনার পরিচিত মানুষ গুলোকে গ্রাথর গ্রুপে যুক্ত করেন দেখবেন সবাই উপকৃত হবেন। আসেন আমরা সবাই নিজেদের সুখি ও বিজয়ী ভাবি আর কর্মচাঞ্চল্যে মেতে উঠি কিছু বদলে দেবার নেশায়!ভাল কিছু করার আশায় । দিন বদলের পালায় আমরা বদলাতে পারবো আমাদের নিজের ভবিষ্যৎ । আপনাদের সকলের ভালবাসায় আমি শিক্ত,অনুপ্রেরনায় আমি অনুপ্রানিত, আপনাদের উদ্দেশ্যে কিছু লিখতে পেরে আমি গর্বিত।