ইন্টারনেট যেন এক রহস্যময় মায়াজালে ঘেরা। তবে এই ইন্টারনেটের জনক কে? এবং ইন্টারনেট কিভাবে ধীরে ধীরে build-up হলো সেই সম্পর্কে আমাদের অনেকেরই ধারণা নেই।
সুতরাং আজকের আমাদের এই আর্টিকেলে আমরা জানতে চলেছি কিভাবেই বা সূচনা হয়েছিল এই রহস্য ঘেরা মায়াজাল ইন্টারনেটের ?
সর্বপ্রথম 1895 সালে এক বাঙালি বিজ্ঞানী স্যার জগদীশ চন্দ্র বসু একটি ক্ষুদ্র জায়গা দিয়ে এক স্থান থেকে আরেক স্থানে বেতার তরঙ্গ পাঠাতে সক্ষম হন। কিন্তু সেই সময় বাঙ্গালীদের আবিষ্কৃত কোন জিনিস স্বীকৃতি লাভ করত না। আর সে কারণেই তার এই আবিষ্কারটি সার্বজনীন স্বীকৃতি পায়নি। তবে এই একই কাজ করেছিলেন গুগলিয়েলমো মার্কনি। তার এই কাজটি সার্বজনীন ভাবে স্বীকৃতি পায়।
মূলত জগদীশ চন্দ্র বসু জেমস ম্যাক্সওয়েলের তড়িৎ চুম্বকীয় বলের ধারণার ওপর ভিত্তি করে এই আবিষ্কারটি করতে সক্ষম হন ।
তবে বিশ শতকে ইলেকট্রনিক্স এর পর যুক্তরাষ্ট্রের বিখ্যাত কোম্পানি আইবিএম এক ধরনের কম্পিউটার তৈরির কাজ শুরু করে । যার নাম ছিল মেইনফ্রেম কম্পিউটার।
আমরা সকলেই জানি যে 1971 সাল আমাদের জন্য খুবই গর্বের একটি সাল।
1971 সালে সর্বপ্রথম মাইক্রোপ্রসেসর আবিষ্কার হওয়ার পর থেকে তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি সকল ধরনের যন্ত্রাংশের ব্যবহার বাড়তে থাকে। 70 দশকের দিকে ইন্টারনেট প্রটোকল ব্যবহার করে আরপানেট আবিষ্কার করা হয় এবং বলা হয়ে থাকে যে সেই সময় থেকেই নেটওয়ার্কের মাধ্যমে কম্পিউটার সমূহের আন্তঃসংযোগ বিকশিত হতে শুরু করে এবং তখন থেকেই ধীরে ধীরে বিকাশ লাভ করতে থাকে ইন্টারনেট।
1971 সালে আরপানেট ইলেকট্রনিক মাধ্যমে পত্রালাপ এর সূচনা শুরু হয়। এবং এটি হচ্ছে ইন্টারনেটের সর্বপ্রথম ব্যবহার এবং এটির আবিষ্কারক ছিলেন আমেরিকান প্রোগ্রামার রেমন্ড স্যামুয়েল । এছাড়াও তিনি সর্বপ্রথম ইমেইল পদ্ধতি সম্পর্কে ধারণা দেন এবং তিনি ইমেইল এর প্রবর্তক।
সুতরাং এই আর্টিকেলটি থেকে আমরা বুঝতে পারছি যে ইন্টারনেটের বিশেষ কোনো জনক নেই। ইন্টারনেট হচ্ছে একটি কম্পিউটারের সাথে আরেকটি কম্পিউটার দিয়ে তৈরি করা একটি বিশাল জালের মত বস্তু ।
সুতরাং বোঝাই যাচ্ছে জেমস ক্লার্ক ম্যাক্সওয়েল, জগদীশচন্দ্র বসু , গুগলিয়েলমো মার্কনি এবং আমেরিকার আইবিএম কোম্পানি সকলেরই বিশেষ অবদান রয়েছে ইন্টারনেট প্রতিষ্ঠিত করতে।
তবে আমরা বাঙালি হিসেবে এটি ভেবে খুব গর্ববোধ করি সে গুগলিয়েলমো মার্কনি এর আগেও আমাদের বাঙালি বিজ্ঞানী স্যার জগদীশ চন্দ্র বসু বেতার তরঙ্গ আবিষ্কার করে। সে সময়ে এটি সার্বজনীন স্বীকৃতি না পেলেও এখন এটি সবার কাছে খুবই স্পষ্ট।
আর্টিকেলটি যদি ভালো লেগে থাকে তাহলে অবশ্যই আর্টিকেলটি শেয়ার করে আমাদের ওয়েবসাইটের সাথে থাকবেন। ততক্ষণ ঘরের ভেতরেই থাকুন।
স্টে হোম, স্টে সেফ।