মালয়েশিয়া এয়ারলাইনস ফ্লাইট এমএইচ ৩৭০
পৃথিবীতে এখন পর্যন্ত অনেক ধরনের রহস্যময় ঘটনা ঘটে গেছে বা ঘটে চলছে তার সবটাই কি আমরা জানি? এইসব ঘটনা মধ্যে সবচেয়ে রহস্যজনক ও অদ্ভুত ঘটনা ঘটেছিল মালয়েশিয়া এয়ারলাইন্স ফ্লাইট এম এইচ 370 এর সাথে। কি ঘটেছিল সেই বিমান টির সাথে আর কি বা হয়েছিল সেটির করুন পরিনিতি তা এখনো সকল মানুষের অজানা। আজও ঘটনাটি মানুষের মনে দাগ কেটে যায়। চলুন জেনে নেওয়া যাক সেই ঘটনাটি।
সেই দিন ছিল শনিবার 8 ই মার্চ 2014 ইং তারিখ। অন্যান্য দিনের মতো সেদিনও ছিল সাধারণ ও রৌদ্র উজ্জ্বল একটি দিন। কে বলতে পারতো এই দিনটি হবে সবচেয়ে ভয়ানক একটি দিন এই বিমানটি যাত্রীদের জন্য। সেই বিমানে ছিল 227 জন যাত্রী এবং 12 জন সদস্য সবথেকে বেশি যাত্রী ছিল চীনের 132 জন । সেই বিমানটি মালয়েশিয়া থেকে বেইজিং এর পথে যাচ্ছিল। এই ফ্লাইটটি মালয়েশিয়া থেকে বেইজিং পর্যন্ত একটি আন্তর্জাতিক ফ্লাইট ছিল। বিমানটি যখন মালয়েশিয়ার বিমানবন্দর থেকে টেক অফ করেছিল তার এক ঘন্টা পর বিমানটির সাথে সব রকম যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে যায় । অনেক চেষ্টা করার পরও বিমানটির সাথে কোনরকম যোগাযোগ সম্পন্ন করা যায়নি এছাড়া যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হবার কয়েক মিনিটের মাথায় ট্রাফিক কন্ট্রোল এর রাডার থেকে বিমানটি গায়েব হয়ে যায়। সব থেকে অবাক করা বিষয় হচ্ছে যে বিমানটির পাইলট কোন রকম বিপদের আশঙ্কা করেনি এবং যোগাযোগ থাকা পর্যন্ত ট্রাফিক কন্ট্রোল এর সাথে নিয়ম মাফিক সব ধরনের কথা স্বাভাবিকভাবে বলে গিয়েছিলেন। মালয়েশিয়া সামরিক বাহিনী এক ঘণ্টা পর বিমানটি রাডার এর মাধ্যমে ট্র্যাক করতে পারে। কিন্তু সামরিক সেই রাডার পরিসীমা ছিল আন্দামান সাগর পর্যন্ত। এই সীমার বাইরে রাডাৱ টি আর বিমানটিকে ট্রেক করতে পারেনি।
বিমানটির শেষ পর্যন্ত গতি বিধি যতটুক পর্যন্ত রেকর্ড করা গিয়েছিল সে অনুযায়ী এটা অনুমান করা গিয়েছিল যে বিমানটি ভারত মহাসাগরে পতিত হয়েছে। মাসব্যাপী খোঁজা খুঁজির পরেও অস্তিত্ব পাওয়া যায়নি। এই বিমানটি খোঁজার জন্য বাংলাদেশ সহ পৃথিবীর প্রায় 140 টি দেশ অংশগ্রহণ করেছিল। কারণ এই বিমানের যতটুকু পরিমাণ তেল ছিল সে তেল দিয়ে বাংলাদেশ পর্যন্ত আসা যেত। তার উপর ভিত্তি করে যতটুকু পর্যন্ত খোলা সম্ভব প্রায় সব দেশেই তা করেছে। অনেক শক্তিশালী সাবমেরিন দিয়ে পানির তল দেশে খুঁজে দেখা হয়েছে কিন্তু এখনো পর্যন্ত সেই বিমানটিৱ কোনো হদিস পাওয়া যায়নি। এখনো পর্যন্ত সেই বিমানটির খোঁজ চলছে। এই রহস্যময় দুর্ঘটনাটি আজ পর্যন্ত রহস্য হয়ে থেকে গেল।