ঘরোয়া পদ্ধতিতে নারিকেল তেল তৈরির রেসিপি

নারিকেল আমরা সবাই চিনি। ডাব বা নারিকেলের পানি পান করেন নি এমন মানুষ বাংলাদেশে খুঁজে পাওয়া দুষ্কর। কিন্তু এর যে এত গুন হইত আমাদের অনেকেরই তা অজানা। তাই আজ নারিকেল তেল সম্পর্কে কিছু স্বাস্থ্যগত তথ্য জানাতে চলে এলাম। আশাকরি সকলেই উপকৃত হবেন।

আমি আজ আপনাদের জানাব নারিকেল তেলের কিছু গুন এবং বাসাতে খুব সহজ পদ্ধতিতে কুল প্রেসড এক্সট্রা ভার্জিন সম্পূর্ণ বিশুদ্ধ ও খাবার উপযোগী নারিকেলের তেল কিভাবে তৈরি করা যায়।

নারিকেল তেলের যত গুন: নারিকেল তেল আমাদের শরীর ও ত্বকের জন্য সমান ভাবে উপকারী । এটা যেমন আমরা ত্বক বা চুলের যত্নে ব্যাবহার করি তেমন আমরা এটা খেতেও পারি স্বাস্থ্য সুরক্ষার জন্য। নারিকেল তেল একটা অব্যর্থ মহা ওষুধ । এটা শরীরের রোগ প্রতিরোধ বৃদ্ধির পাশাপাশি, অনেক রোগ নিরাময় এবং সার্বিক স্বাস্থ্য সুরক্ষার জন্য এর জুড়ি মেলা দুষ্কর।

নিচে নারিকেল তেল নিয়মিত সেবনের কিছু শারীরিক উপকারিতা তুলে ধরা হল ঃ

১। এতে রয়েছে স্বাস্থ্যকর ফ্যাটি এসিড ।

২। নারিকেল তেল হার্টের জন্য খুবি উপকারী।

৩। নারিকেল তেল অতিরিক্ত চর্বি কমাতে সাহায্য করে।

৪। এটি খুধা খুধা ভাব দূর করতে দারুণ কার্যকর।

৫। রক্তে বাজে কলেষ্টরল কমাতে সাহায্য করে।

৬। শরীরে শক্তি যোগাই।

৭। যে কোন প্রদাহ দূর করতে সাহায্য করে।

৮। বহুমূত্র রোগীদের জন্য আদর্শ।

৯। এটির ব্যাবহার রোগপ্রতিরোধ শক্তি বারাতে সাহায্য করে।

১০। মস্তিষ্কের কার্যক্ষমতার উন্নতি ঘটাই।

১১। পেটের মেদ কমাতে অসাধারণ কাজ করে।

কিভাবে বাসাতে তৈরি করবেন কুল প্রেসড এক্সট্রা ভার্জিন নারিকেল তেলঃ  আজ কাল বাজারে হরেক রকমের নারিকেল তেল পাওয়া যাই। সবাই দাবি করে তাদের তেল ১০০% খাটি। কিন্তু আমরা সবাই জানি এসব তেলের অধিকাংশই ভেজাল ও কেমিক্যালে পূর্ণ। এদের মধ্যে আবার শতভাগ খাটি দাবি করা অনেক ব্র্যান্ড বা কোম্পানি এসব তেলের দাম রাখে আকাশ চুন্ডি , যেটা আদও খাটি কিনা তা নিয়ে সন্দেহ থেকেই যাই। কিন্তু আমরা অতি সহজেই বাড়িতে এই তেল তৈরি করতে পারি একেবারেই স্বল্প খরচে। চলুন দেখে নিই বাসাতে কিভাবে আমরা নারিকেল তেল তৈরি করব।

উপকরনঃ ১। ২ টি নারিকেল

২। ৫ কাপ কুসুম গরম পানি।

প্রনালিঃ প্রথমে নারিকেল দুটি ছোট ছোট করে কুরে নিন, তারপর ৪ মগ কুসুম-গরম পানি যুক্ত করুন। ভালো করে ব্লেন্ড করে ছেকে নারিকেলের-দুধ তৈরি করে নিন।

তারপর, বাকি ১ মগ পানি ঐ নারিকেল গুরাতে দিন এবং আবার ব্লেন্ড কুরুন ও একিই পদ্ধতিতে আবার ছেকে নিন।

অতঃপর, ঐ নারিকেলের দুধ ৫-৬ ঘণ্টার জন্য ফ্রিজে রেখে দিন (ডিপে রাখবেন)।

ফ্রিজ থেকে বের করে দেখতে পাবেন পানি আলাদা হয়ে উপরে মাখনের মতো জমে আলাদা স্তর বসে গেছে। ঐ বসে জাওয়া স্তর পানি থেকে আলাদা করে একটি কড়াইয়ে তুলে নিন।

তারপর, ঐ কড়ায়ে তুলে নেওয়া অংশটি অল্প আচে জাল দিতে থাকুন।

এভাবে কিছুক্ষণ জাল দিতে দিতে দেখবেন হাল্কা বাদামি হয়ে তার-উপর তেল ভেসে আসছে। তারপর ঠাণ্ডা করে তেলটুকু পরিষ্কার কাচের বা পরিবেশ বান্ধব কোন পাত্রে ছেকে নিন। বেস, হয়ে গেল আপনার কুল প্রেসড এক্সট্রা ভার্জিন সম্পূর্ণ বিশুদ্ধ ও খাবার উপযোগী নারিকেল তেল ।

ধন্যবাদ।

Related Posts

8 Comments

মন্তব্য করুন